![]() |
গল্পটা হারিয়ে যাওয়ার |
-আচ্ছা ইসু! তোমায় একটা কথা বলি?
আমি হেসে দিয়ে বললাম,"হুম! বলো শুনছি।
-আচ্ছা! কাউকে একসাথে ৮০%, আর কাউকে কি বাকি ২০% ভালবাসা যায়?
রাসেলের মুখে হঠাৎ এমন কথা শুনে থমকে গেলাম। আমাদের ভালবেসে বিয়ে করার সংসার জীবন, আজ প্রায় দু বছর ছুই ছুই। হঠাৎ একি কথা বললো ও!
পেয়াজ কাটার ছুরিটা হাত থেকে শিথিল হয়ে ; চোখ দুটি ওর ওপরে পড়লো আমার। ও পাশে বসে কথা বলছিলো।
আমার তাকানো দেখে আরো একটু উৎসাহিত হয়ে বললো,
"বলোনা! এভাবে ভালোবাসা যায়?
আমি নরমগলায় বললাম,"ভালবাসা কি বুঝো তুমি!বুঝলে বলোতো! ভালবাসা কি?"
ও হেসে বললো,"একি কথা! আমি না বুঝলে তোমায় ভালবেসে ওভাবে পালিয়ে এনে বিয়ে কেনো করতাম!
ভালবাসা হলো একটা দায়িত্ব, আর আমি তা ঠিকি পালন করছি।"
আমি উদাস হয়ে বললাম,"হুম! ভালবেসে পালিয়ে এনে বিয়ে করেছো! আমার সাথে সর্মপকে জড়িয়ে দায় মেটাতে দায়িত্ব পালন করছো!"
কিন্তু রাসেল! ভালবাসা ওটা না! ভালবাসা পৃথিবীর সবচেয়ে পবিএ বন্ধন। যেকোনো পরিস্থিতিতে, দুটি মানুষের সারাজীবন একসাথে থাকার প্রতিজ্ঞা বহন।
হোক সেটা সুখে কিংবা হোক দুঃখে!
ভালবাসা শুধু দায়িত্ব নয়,ভালবাসা হচ্ছে যত্ন করা,ভালবাসার মানুষকে বোঝা! তার ছোটো ছোটো ইচ্ছেগুলোকে দাম দেয়া, ভুলগুলি শুধরে একসাথে থাকার ইচ্ছা। ভালবাসার মেয়েটি ধর্ষিতা কিংবা ভালবাসার ছেলেটি পঙ্গু জেনেও, তাকে নিয়ে শেষটা কি হয় সেটা দেখার ইচ্ছা! হাজারটা না থাকার অযুহাত ভুলে পাশে থাকার মতো শুধু একটা কারন খোজা!
আর এইযে বললেনা! কাউকে একিসাথে ৮০% আর কাউকে বাকি ২০% ভালবাসা যায় কিনা!
যায়না! কখনো যায়না! কেনো জানো! কারন ভালবাসা কখনো ভাগ হয়না। ভালবাসা এমনি! ভাগ মেনেই নেওয়া যায়না।
যদি একজনকে ভালোবেসে আরেকজনকে অনুভব করো, ভুলেও আরেকজনকে নিয়ে ভাবো ; তবে সেটা ভালবাসা নয়। শুধু মোহ! শুধুই মোহ! আর ভালবাসা নামে একটা মিথ্যে দায়িত্ব কাধে নেয়া। ভালবাসা কখনো একিসাথে দুজনকে দেওয়া যায়না।"
কথাগুলো বলে রাসেলের দিকে তাকাতেই দেখলাম ও আমার আচলঁটতে বেঘোরে ঘুমোচ্ছে। তারমানে কথাগুলি শোনেনি এতক্ষন ও।
পেয়াজ কাটা রেখে আলতো করে ওকে খাটে শুইয়ে ওর মাথাটা তুলে একটা বালিশ গুজে দিলাম।
কাজ সেরে আমিও ওর পাশে শুয়ে পড়লাম।
ঘুম আসছেনা! কানে শুধু ওর একটা কথাই বাজছে!
"আচ্ছা! কাউকে একসাথে ৮০% আর কাউকে কি বাকি ২০% ভালবাসা যায়?"
""""""""""'''''''''''''''''""""""""""""'"'"""'''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''"""""""
""''''''''''''''''
আজ আমাদের বিবাহবার্ষিকী।
ঘরটা খুব সুন্দর করে সাজালাম। রাসেলের প্রিয় বিরিয়ানি আর আমার প্রিয় ইলিশ খিচুরি রাধঁলাম। গত বার রাসেল এই বিবাহবার্ষিকী তেই আমায় একটা শাড়ি উপহার দিয়েছিলো। এবার কিছু দেয়নি। কাজের চাপে হয়তো ভুলে গেয়েছে বেচারা,তাই ওর দেওয়া গতবারের লাল পাড় নীল শাড়িটা পড়লাম,খোপায় ওর প্রিয় বেলী ফুল গুজে দিলাম, হাতে একরাশ কাচেরঁ চুড়ি,আর কপালে আয়নায় লেপ্টে থাকা টিপটা পড়লাম। চোখে ঘন করে কাজল একেঁ দিলাম। সচরাচর লিপিস্টিক পড়িনা আমি। তবু আজ বিশেষ দিন বলে কথা! অনেক খুজে আমার প্রিয় পেয়াজ কালার লিপ্পিটাই লাগিয়ে দিলাম ঠোটজোড়ায়। কিছুক্ষন আয়নায় নিজেকে দেখে নিজেই তাকিয়ে রইলাম।না খুব বেশি খারাপ লাগছেনা দেখতে!
"""""""""""''''
কলিংবেলটা বেজে উঠলো। দৌড়ে দরজাটা টেনে খুলে দিলাম।
রাসেল এসেছে। আমার দুচোখ জুড়ে খুশির ঝিলিক।
কিন্তু এখুশিটা ক্ষনিকের জন্য,আবার কোথায় যেনো মিলিয়ে গেলো।
রাসেলের সাথে একটা মেয়ে। আমার চেয়েও বেশ সুন্দরী। রাসেল মেয়েটার হাত ধরে বললো,"ইসরাত! বলেছিলামনা একজন ২০% এর কথা! এই সেই ২০ % আমার! রাগ করবেনাতো আবার!"
"
আমি টলে গিয়েও নিজেকে সামলে নিলাম কোনোমতে!
কিভাবে বলছে এসব ও!
কিভাবে! আর পাশের মেয়েটাই বা সব দেখেশুনে কিভাবে হজম করছে!
একটা ফিকে হাসি দিয়ে বললাম," আমি কখনো রাগ করিনা! খেতে এসো।"
খাওয়া সেরে মেয়েটাকে বিদেয় দিয়ে রাসেল চুপচাপ রুমে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়লো। ঘুমুতে শুধু আমিই পারলামনা। সব আয়োজন,আনন্দ,ইচ্ছা এক নিমিষেই কোথায় যেন মিলিয়ে গেলো।
আস্তে করে উঠে পড়লাম।ডায়রিটা খুলে চিরকুটটা লিখতে বসলাম।
(
"রাসেল!
কাল ডায়েরীটা পড়া শেষ হলে আমাকে খুজতে যেওনা কিন্তু ভূলেও। কারন আমি অতল সমুদ্র। মোটেও খুজে পাবেনা আমাকে,তলিয়ে যাবে। আজ থেকে তোমার ধরাছোঁয়ার বাইরের এক অতীত হয়ে গেলাম আমি।
দুবছর আগে যখন সব ছেড়ে পালিয়ে এসে তোমায় বিয়ে করেছিলাম, আমার ছোট্ট এ ঘরে তখন ১০০% ভালবাসা ছিলো। আজ তা ৮০% হয়ে ভাগ হয়ে গেলো। জানো! হারানো ২০% ই আমাকে অতল অন্ধকারে ঠেলে দিলো।কারন ভালোবাসা কখনোই ভাগ হয়না।
তোমায় বলেছিনা! আমি কখনো রাগ করিনা! সত্যি আজো করিনি। কিন্তু কোথায় একটা যেনো অভিমান জমে গেছে। সুর ভেঙ্গে গেছে। কষ্ট হচ্ছে! ভীষন কষ্ট হচ্ছে!না না! রাগ করিনি কিন্তু মোটেও।
জানো এ ঘরটা আমি অনেক সুন্দর করে গুছিয়ে রাখতাম কারন এটা আমার মন্দির ছিলো। এ ঘরের দেবতাকে আমি রোজ পূজো দিতাম! আমার দেবতা তো তুমিই! কিন্তু আজ আমার মন্দিরটা ঝড়ে ভেঙ্গে গেলো।
তুমি বড় ভাগ্যবান।
শেষরাতের সে ঝড়ের সাক্ষী তোমাকে হতে হয়নি।
জানো! আজ আমার দেবতাটাও নেই।
তাই আর কোনোদিন পূজো দিবোনা এ ঘরে।
আজ থেকে আমার মন্দির,দেবতা,পূজো সব মিলিয়ে গেলো! ঝড়ে সব উড়িয়ে নিয়ে গেলো।
তুমি জানতেও পারলেনা কোনোদিন! ডায়রীটা পড়লে হয়তো জেনে ফেলবে।
রাসেল!
একি! সকাল হয়ে যাচ্ছে! নাহ্ আমাকে অন্ধকারে ডুবতে হবে! ঝড়ের সাক্ষী হতে হবে। কারন দিনশেষে আজ আমি আমার গরমিলে হিসেব মিলাতে পেরেছি।
ডুবে যাচ্ছি অন্ধকারে! তোমার ২০% কে নিয়ে ভালো থেকো!আর হ্যা!
ওকে বাকি ৮০% ও ভালোবেসো! আমার মত অন্ধকারে ডুবতে দিয়োনা। তবে যাই বলো মেয়েটা কিন্তু বেশ সুন্দরী
।দারুন মানাবে তোমাদের একসাথে। ঠিক যেনো দেবদাস,চন্দ্রমুখী।
আমি বিরহিনী পারু না হয় একাই রইলাম।
খুব ভালো থেকো।
ইতি!
ইসু।)
কলমটা হাত থেকে পড়ে গেলো।
সব অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছে। চোখ দুটো ঘোলাটে হচ্ছে ধীরে ধীরে। ঘুমের ঔষধগুলো অনেক বেশি ই খেয়ে ফেলেছি। একবার রাসেলের দিকে তাকালাম। ওকে অস্পষ্ট দেখাচ্ছে।
একবার ছুয়ে দিতে ভীষন ইচ্ছে হচ্ছে।
কিন্তু না ছোয়া যাবেনা।
কারন আমি একজন ক্যান্সার রোগী। কেজানে ও ভয় পায় কিনা আমি ছুলে, তাইতো আজ ও বাধ্য হয়ে কাউকে বাকি ২০% ভালোবাসে।হুম ক্যান্সার ছোয়াছে।
ভালো থাকুক ওরা! আমি অন্ধকারে একাই ভালো থাকবো।
আমি হেসে দিয়ে বললাম,"হুম! বলো শুনছি।
-আচ্ছা! কাউকে একসাথে ৮০%, আর কাউকে কি বাকি ২০% ভালবাসা যায়?
রাসেলের মুখে হঠাৎ এমন কথা শুনে থমকে গেলাম। আমাদের ভালবেসে বিয়ে করার সংসার জীবন, আজ প্রায় দু বছর ছুই ছুই। হঠাৎ একি কথা বললো ও!
পেয়াজ কাটার ছুরিটা হাত থেকে শিথিল হয়ে ; চোখ দুটি ওর ওপরে পড়লো আমার। ও পাশে বসে কথা বলছিলো।
আমার তাকানো দেখে আরো একটু উৎসাহিত হয়ে বললো,
"বলোনা! এভাবে ভালোবাসা যায়?
আমি নরমগলায় বললাম,"ভালবাসা কি বুঝো তুমি!বুঝলে বলোতো! ভালবাসা কি?"
ও হেসে বললো,"একি কথা! আমি না বুঝলে তোমায় ভালবেসে ওভাবে পালিয়ে এনে বিয়ে কেনো করতাম!
ভালবাসা হলো একটা দায়িত্ব, আর আমি তা ঠিকি পালন করছি।"
আমি উদাস হয়ে বললাম,"হুম! ভালবেসে পালিয়ে এনে বিয়ে করেছো! আমার সাথে সর্মপকে জড়িয়ে দায় মেটাতে দায়িত্ব পালন করছো!"
কিন্তু রাসেল! ভালবাসা ওটা না! ভালবাসা পৃথিবীর সবচেয়ে পবিএ বন্ধন। যেকোনো পরিস্থিতিতে, দুটি মানুষের সারাজীবন একসাথে থাকার প্রতিজ্ঞা বহন।
হোক সেটা সুখে কিংবা হোক দুঃখে!
ভালবাসা শুধু দায়িত্ব নয়,ভালবাসা হচ্ছে যত্ন করা,ভালবাসার মানুষকে বোঝা! তার ছোটো ছোটো ইচ্ছেগুলোকে দাম দেয়া, ভুলগুলি শুধরে একসাথে থাকার ইচ্ছা। ভালবাসার মেয়েটি ধর্ষিতা কিংবা ভালবাসার ছেলেটি পঙ্গু জেনেও, তাকে নিয়ে শেষটা কি হয় সেটা দেখার ইচ্ছা! হাজারটা না থাকার অযুহাত ভুলে পাশে থাকার মতো শুধু একটা কারন খোজা!
আর এইযে বললেনা! কাউকে একিসাথে ৮০% আর কাউকে বাকি ২০% ভালবাসা যায় কিনা!
যায়না! কখনো যায়না! কেনো জানো! কারন ভালবাসা কখনো ভাগ হয়না। ভালবাসা এমনি! ভাগ মেনেই নেওয়া যায়না।
যদি একজনকে ভালোবেসে আরেকজনকে অনুভব করো, ভুলেও আরেকজনকে নিয়ে ভাবো ; তবে সেটা ভালবাসা নয়। শুধু মোহ! শুধুই মোহ! আর ভালবাসা নামে একটা মিথ্যে দায়িত্ব কাধে নেয়া। ভালবাসা কখনো একিসাথে দুজনকে দেওয়া যায়না।"
কথাগুলো বলে রাসেলের দিকে তাকাতেই দেখলাম ও আমার আচলঁটতে বেঘোরে ঘুমোচ্ছে। তারমানে কথাগুলি শোনেনি এতক্ষন ও।
পেয়াজ কাটা রেখে আলতো করে ওকে খাটে শুইয়ে ওর মাথাটা তুলে একটা বালিশ গুজে দিলাম।
কাজ সেরে আমিও ওর পাশে শুয়ে পড়লাম।
ঘুম আসছেনা! কানে শুধু ওর একটা কথাই বাজছে!
"আচ্ছা! কাউকে একসাথে ৮০% আর কাউকে কি বাকি ২০% ভালবাসা যায়?"
""""""""""'''''''''''''''''""""""""""""'"'"""'''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''"""""""
""''''''''''''''''
আজ আমাদের বিবাহবার্ষিকী।
ঘরটা খুব সুন্দর করে সাজালাম। রাসেলের প্রিয় বিরিয়ানি আর আমার প্রিয় ইলিশ খিচুরি রাধঁলাম। গত বার রাসেল এই বিবাহবার্ষিকী তেই আমায় একটা শাড়ি উপহার দিয়েছিলো। এবার কিছু দেয়নি। কাজের চাপে হয়তো ভুলে গেয়েছে বেচারা,তাই ওর দেওয়া গতবারের লাল পাড় নীল শাড়িটা পড়লাম,খোপায় ওর প্রিয় বেলী ফুল গুজে দিলাম, হাতে একরাশ কাচেরঁ চুড়ি,আর কপালে আয়নায় লেপ্টে থাকা টিপটা পড়লাম। চোখে ঘন করে কাজল একেঁ দিলাম। সচরাচর লিপিস্টিক পড়িনা আমি। তবু আজ বিশেষ দিন বলে কথা! অনেক খুজে আমার প্রিয় পেয়াজ কালার লিপ্পিটাই লাগিয়ে দিলাম ঠোটজোড়ায়। কিছুক্ষন আয়নায় নিজেকে দেখে নিজেই তাকিয়ে রইলাম।না খুব বেশি খারাপ লাগছেনা দেখতে!
"""""""""""''''
কলিংবেলটা বেজে উঠলো। দৌড়ে দরজাটা টেনে খুলে দিলাম।
রাসেল এসেছে। আমার দুচোখ জুড়ে খুশির ঝিলিক।
কিন্তু এখুশিটা ক্ষনিকের জন্য,আবার কোথায় যেনো মিলিয়ে গেলো।
রাসেলের সাথে একটা মেয়ে। আমার চেয়েও বেশ সুন্দরী। রাসেল মেয়েটার হাত ধরে বললো,"ইসরাত! বলেছিলামনা একজন ২০% এর কথা! এই সেই ২০ % আমার! রাগ করবেনাতো আবার!"
"
আমি টলে গিয়েও নিজেকে সামলে নিলাম কোনোমতে!
কিভাবে বলছে এসব ও!
কিভাবে! আর পাশের মেয়েটাই বা সব দেখেশুনে কিভাবে হজম করছে!
একটা ফিকে হাসি দিয়ে বললাম," আমি কখনো রাগ করিনা! খেতে এসো।"
খাওয়া সেরে মেয়েটাকে বিদেয় দিয়ে রাসেল চুপচাপ রুমে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়লো। ঘুমুতে শুধু আমিই পারলামনা। সব আয়োজন,আনন্দ,ইচ্ছা এক নিমিষেই কোথায় যেন মিলিয়ে গেলো।
আস্তে করে উঠে পড়লাম।ডায়রিটা খুলে চিরকুটটা লিখতে বসলাম।
(
"রাসেল!
কাল ডায়েরীটা পড়া শেষ হলে আমাকে খুজতে যেওনা কিন্তু ভূলেও। কারন আমি অতল সমুদ্র। মোটেও খুজে পাবেনা আমাকে,তলিয়ে যাবে। আজ থেকে তোমার ধরাছোঁয়ার বাইরের এক অতীত হয়ে গেলাম আমি।
দুবছর আগে যখন সব ছেড়ে পালিয়ে এসে তোমায় বিয়ে করেছিলাম, আমার ছোট্ট এ ঘরে তখন ১০০% ভালবাসা ছিলো। আজ তা ৮০% হয়ে ভাগ হয়ে গেলো। জানো! হারানো ২০% ই আমাকে অতল অন্ধকারে ঠেলে দিলো।কারন ভালোবাসা কখনোই ভাগ হয়না।
তোমায় বলেছিনা! আমি কখনো রাগ করিনা! সত্যি আজো করিনি। কিন্তু কোথায় একটা যেনো অভিমান জমে গেছে। সুর ভেঙ্গে গেছে। কষ্ট হচ্ছে! ভীষন কষ্ট হচ্ছে!না না! রাগ করিনি কিন্তু মোটেও।
জানো এ ঘরটা আমি অনেক সুন্দর করে গুছিয়ে রাখতাম কারন এটা আমার মন্দির ছিলো। এ ঘরের দেবতাকে আমি রোজ পূজো দিতাম! আমার দেবতা তো তুমিই! কিন্তু আজ আমার মন্দিরটা ঝড়ে ভেঙ্গে গেলো।
তুমি বড় ভাগ্যবান।
শেষরাতের সে ঝড়ের সাক্ষী তোমাকে হতে হয়নি।
জানো! আজ আমার দেবতাটাও নেই।
তাই আর কোনোদিন পূজো দিবোনা এ ঘরে।
আজ থেকে আমার মন্দির,দেবতা,পূজো সব মিলিয়ে গেলো! ঝড়ে সব উড়িয়ে নিয়ে গেলো।
তুমি জানতেও পারলেনা কোনোদিন! ডায়রীটা পড়লে হয়তো জেনে ফেলবে।
রাসেল!
একি! সকাল হয়ে যাচ্ছে! নাহ্ আমাকে অন্ধকারে ডুবতে হবে! ঝড়ের সাক্ষী হতে হবে। কারন দিনশেষে আজ আমি আমার গরমিলে হিসেব মিলাতে পেরেছি।
ডুবে যাচ্ছি অন্ধকারে! তোমার ২০% কে নিয়ে ভালো থেকো!আর হ্যা!
ওকে বাকি ৮০% ও ভালোবেসো! আমার মত অন্ধকারে ডুবতে দিয়োনা। তবে যাই বলো মেয়েটা কিন্তু বেশ সুন্দরী
।দারুন মানাবে তোমাদের একসাথে। ঠিক যেনো দেবদাস,চন্দ্রমুখী।
আমি বিরহিনী পারু না হয় একাই রইলাম।
খুব ভালো থেকো।
ইতি!
ইসু।)
কলমটা হাত থেকে পড়ে গেলো।
সব অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছে। চোখ দুটো ঘোলাটে হচ্ছে ধীরে ধীরে। ঘুমের ঔষধগুলো অনেক বেশি ই খেয়ে ফেলেছি। একবার রাসেলের দিকে তাকালাম। ওকে অস্পষ্ট দেখাচ্ছে।
একবার ছুয়ে দিতে ভীষন ইচ্ছে হচ্ছে।
কিন্তু না ছোয়া যাবেনা।
কারন আমি একজন ক্যান্সার রোগী। কেজানে ও ভয় পায় কিনা আমি ছুলে, তাইতো আজ ও বাধ্য হয়ে কাউকে বাকি ২০% ভালোবাসে।হুম ক্যান্সার ছোয়াছে।
ভালো থাকুক ওরা! আমি অন্ধকারে একাই ভালো থাকবো।
ইসরাত জাহান
1 Comments
সুন্দর
ReplyDelete